আমির হামজা। বয়স মাত্র (১৩) বছর। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ধাওয়নশীপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। সে পার্শ্ববর্তী কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তার বাবা আশরাফুল ইসলাম কৃষি কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। মা জেসমিন বেগম একজন গৃহিনী। জন্মের পর বাবা মা সন্তানের আদর করে নাম রাখেন আমির হামজা। স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে বড় হয়ে সংসারের দুঃখ কষ্ট দূর করবে। গড়ে উঠবে সুখের সংসার। কিন্তু আদরের সেই ছেলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাবা মার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন ছেলেকে বাঁচতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাবা আশরাফুল ইসলাম। চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা। এখন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের দু ফোটা জ্বল ফেলা ছাড়া কিছুই করার নেই বাবা আশরাফুল ইসলামের।

আমির হামজার বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার সন্তান আমির হামজার আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে গলায় একটা টিউমার দেখা দেয়। পরে রাজশাহীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করে চিকিৎসা করা হয়। দুই বছর সে খুব ভালো ছিল। তারপরে হঠাৎ করে আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার যেটুকু সম্বল ছিল ছেলের চিকিৎসার কাজে খরচ করে আমি এখন শেষ হয়ে গেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমির হামজা অনেক ভালো ছেলে ও মেধাবী ছাত্র। ওর বাবা টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করতে পারছে না। সমাজের ধনী ব্যক্তিরা যদি তার পাশে দাঁড়াতো তাহলে সে ভালো চিকিৎসা করাতে পারতো।

আলীহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, আমির হামজা বেশকিছু দিন থেকে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তাকে সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করব এবং তিনি যদি সমাজসেবা অফিসের নির্ধারিত ফরমে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেন তাহলে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ক্যান্সার রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমির হামজাকে সাহায্য পাঠাতে পারেন- ০১৩১৮-১০০৪৭০ (বিকাশ ও নগদ) নাম্বার।

kalerkantho