• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

লামায় ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে এমএইচভির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বান্দরবান লামা সদর ইউপির মেরাখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘সিএইচসিপি’ সুলতানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি করে প্রতারণার কৌশলে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) পুরু জান্নাত বেগমের বেতন-ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পুরু জান্নাত বলেন, এমএইচভি প্রকল্পের কাজ শেষহলে চেক ফেরত দিবে মর্মে চাকুরীর কাজের সিকিউরিটি হিসেবে আমার হিসাব নাম্বারের ২টি স্বাক্ষরিত খালি চেক রেখে দেয়। পরে একাউন্টে টাকা জমা হলে আমার অজান্তে টাকা উত্তোলন করে নেয় ‘সিএইচসিপি’ সুলতানা ইয়াসমিন।

এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এমএইচভি পুরু জান্নাত বেগম সিএইচসিপি সুলতানা ইয়াসমিনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অদ্যাবধি সিসি ও মাঠ পর্যায়ে অর্পিত দায়ীত্ব পালন করে আসলেও কোথাও তার হাজিরা দেখানো হয়নি। গত ৬ এপ্রিল’২১ তার কাজের সম্মানী বাবদ ১০’হাজার ৮’শত টাকা জমা হয়। পুরু জান্নাত বেগমের মোবাইলে এসএমএস সার্ভিস চালু না থাকায় অজান্তে তার স্বাক্ষরিত চেক দ্বারা ১৮এপ্রিল উত্তোলন করে নেয় সিএইচসিপি সুলতানা। পরবর্তীতে ৩০জুন দুইধাপে মোট ৩০’হাজার ৯’শত ৬০’টাকা জমা হয়। সেখান থেকে ৫’জুলাই২১ আবারো ২২’হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয় সিএইচসিপি সুলতানা।

এমএইচভি পুরু জান্নাত বেগম বলেন, নয় মাসের টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি সহকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে ব্যাংকে যখন টাকা তুলতে যায় তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার একাউন্টে শুধু ১০হাজার আছে বলে জানিয়েছেন। ভারাক্রান্ত মনে বিষয়টি সিএইচসিপি সুলতানার কাছ থেকে জানতে চাইলে সে বলে! তোমার একাউন্টে শুধু তিনমাসের ১০ হাজার ৮শ টকা জমা হয়েছে। পুরু জান্নাত বলেন, আমি একজন অসহায় ও দুই যমজ সন্তানের জননী। দারিদ্র পরিবারে অসহায়ত্বের সহিত মানবেতর জীবনযাপন করছি। কিন্তু সিএইচসিপি সুলতানা ইয়াসমিনের এহেন কর্মকাণ্ডে আমি খুবই মর্মাহত।

সিএইচসিপি’ সুলতানা ইয়াসমিন এর নিকট তার বিভিন্ন অনিয়ম-টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

এবিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিউদ্দীন মাজেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে সে বিষয়ে তদন্ত করতে মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান মোহাম্মদকে প্রধান করে ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে এর আগে অভিযুক্ত সিএইচসিপি সুলতানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ঠিকমত অফিস না করা, সরকারি ঔষুধ টাকার বিনিময়ে প্রদান ও স্থানীয় হওয়ায় রাজকীয় প্রভাব প্রয়োগ করে রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সাথে অশ্রদ্ধা মূলক আচরণ সহ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যে কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া সহ নানা অভিযোগের পরিতাপ চেয়ে জনস্বার্থে গণস্বাক্ষরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্লিনিক পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ।

এছাড়া অত্র ক্লিনিকে এমএইচভি (মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার) নিয়োগে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। প্রোভাইডার ইয়াসমিন সুলতানা স্বজনপ্রীতি করে তার নিজের পছন্দমতো প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করেছেন। ৬জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের মধ্যে তার নিজ ঘরের রয়েছে ৪জন। যা নিয়োগ বিধির পরিপন্থী ও নিয়োগ বিধিতে দূর্নীতি হিসেবে বিবেচিত।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ