আমিনুল ইসলাম বাহার,পেকুয়া

গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে বারবাকিয়া ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শুরু হলে ৯ ওয়ার্ডের মধ্যে নৌকার প্রার্থী জি এম আবুল কাশেম ৪৪২২ ভোট পেয়ে ৩০৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। বাকী ০৬ নং ওয়ার্ড স্থগিত করা হয়েছিল।

পরবর্তী নির্দেশ মুতাবেক ৩০ ডিসেম্বর বারবাকিয়া ইউপির ০৬ নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর ভোট কেন্দ্রের পশ্চিম দিক থেকে এসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ফাকা গুলি বর্ষণ করে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে বহিরাগতদের দাওয়া পালটা দাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাকা গুলি বর্ষণ করে।পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও চকরিয়া পেকুয়ার (সার্কেল) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।পরবর্তীতে প্রশাসনের নিরপক্ষতায় সুষ্ঠ পরিবেশে বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়। সুষ্ঠ ভোট গ্রহণে পুলিশ, র‍্যাব, কোষ্টগার্ড, আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার চাদরে ডেকে রাখেন ভোট কেন্দ্র।

থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ও স্থগিত হওয়া বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মোট ১৩৩৫ ভোটারের মধ্যে ফাঁসিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ কেন্দ্রে ৯৪৯ জন ভোটার গোপন ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।

প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জি এম আবুল কাশেম ১৯৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান চশমা প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা এইচ এম বদিউল আলম জিহাদি ৬৭০ ভোট পেয়ে ১৭০ ভোটের ব্যবধানে ৩য় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
বারবাকিয়া ইউপির নির্বাচনি রির্টানিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার সালামত উল্লাহ সুত্রে জানা যায়, বারবাকিয়ার ৯ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত স্থগিত কেন্দ্র সহ মোট ভোটার সংখ্যা ১২৮৪৪ জন। তার মধ্যে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম আবুল কাশেম ৪৬১৮ ভোট ও চশমা প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম বদিউল আলম জিহাদি ৪৭৮৮ ভোট পেয়ে ১৭০ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী কে হারিয়ে বেসরকারি ভাবে ৩য় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে নৌকা প্রতিকের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা যুদ্বা অপরাধী মামলার আসামী জামায়াত নেতা মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোষ আদায়ের মাধ্যমে বিজয়ের এই মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতিককে কৌশলে হারিয়ে দিয়েছেন। তিনি এমন কি আমার ২ সন্তানকে পুলিশ দিয়ে নির্মম ভাবে পিঠিয়ে আহত করেছেন।