• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

সুগন্ধা মসজিদের আত্মসাতকৃত ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২২ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

কক্সবাজারের সুগন্ধা বায়তুল মামুর জামে মসজিদের আত্মসাতকৃত ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৩ জুন) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মসজিদের মুসল্লী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মিছিল—সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত পরিচালনা কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি। এ ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পবিত্র মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সাধারণ মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এদিকে সাধারণ মুসল্লীদের মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশে ও দুদক—ডিসি বরাবর দেওয়া অভিযোগের আলোকে জাতীয় এবং স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মসজিদের দুনীর্তির বিরুদ্ধে কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন শেখ নামে এক ব্যক্তি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মসজিদের মুসল্লী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যা মসজিদের আত্মসাতকৃত টাকা হজম করার অপকৌশল।

বক্তারা আরও বলেন, মসজিদ কমিটির সাবেক সহ—সভাপতি লাল মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ, সাবেক ক্যাশিয়ার মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য নাজিম দীর্ঘ ৬ বছর মসজিদের দায়িত্ব পালন করে। দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে সভাপতির চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা লোপাট করে। এছাড়া মসজিদের অজু খানা ভেঙ্গে দোকান দেওয়ার কথা বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত জামানত নিয়ে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে দেয়। একইভাবে আরেক ব্যক্তিকে দোকান দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা জামানত নেয়। এসব বিষয় মসজিদের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে তিনি টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুনীর্তি হয়েছে জানতে পেরে অজুখানা ভেঙ্গে দোকান নির্মাণ না করতে নির্দেশ দেন। সেই সাথে ওই ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ কমিটি ভেঙ্গে দেয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ৬ বছর দায়িত্ব পালনকালে মসজিদের যাবতীয় আয়—ব্যয় হিসাব চেয়ে আত্মসাৎকৃত টাকা মসজিদ ফান্ডে ফিরিয়ে আনার দাবিতে দুদক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সাধারণ মুসল্লীরা।

বক্তারা বলেন, মসজিদের টাকা নিয়ে তারা ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। অবিলম্বে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মসজিদের মুসল্লী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

এর আগে সুগন্ধা পয়েন্টের শত শত ব্যবসায়ী ও মুসল্লীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যবসায়ী ও মুসল্লীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফরিদ, মুজিব, সানজিদ ও মুরাদ।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ