আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ৬৪ জেলার ডিসিদের নিয়ে চলতি বছরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সরকারের ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থার অংশগ্রহণ করবে। আগামীকাল রবিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনের সার্বিক বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করবেন।
জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) এবার এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের রাজনীতি করার সুযোগ বন্ধের প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে এ রকম অন্তত ২৪৪টি প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে তিন দিনে ২৪টি অধিবেশনে এসব প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।
প্রধানমন্ত্রী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর ডিসিদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় বসবেন সরকারপ্রধান। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যঅধিবেশন শুরু হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিরা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলে যাবেন। এখানে সম্মেলনের কার্যঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের কার্যঅধিবেশন শেষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন সব ডিসিসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে এবং তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনারাও।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি কর্মচারীর মতো একটি বিধিমালা করার এই প্রস্তাব দিয়েছেন ঝিনাইদহের ডিসি মনিরা বেগম।
প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে পাঠদান কার্যক্রমে তাঁদের দায়সারা আচরণ দেখা যায়। বিধিমালা হলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি, সাংবাদিকতাসহ একাধিক পেশায় যুক্ত থাকার প্রবণতা ঠেকিয়ে শিক্ষকদের পাঠদানে আন্ত্মরিক করা যাবে। বিধিমালা বা নীতিমালা থাকলে শিক্ষকতা পেশায় থেকে রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণে নিরম্নৎসাহিত করাও সম্ভব। এছাড়া নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নামে স্বতন্ত্র একটি অধিদপ্তর করার প্রস্তাব দিয়েছেন।