ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশে বলা হয়, পঞ্চগড়ের মুখ্য হাকিমের তত্ত্বাবধানে একটি ম্যাজিস্ট্রেট টিম দিয়ে ওই ঘটনার বিচারিক তদন্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে, এই আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
পাশাপাশি, তদন্ত কাজে অনুসন্ধানের কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক, জেলা কারাগারের প্রধান এবং জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, কারাগারে কারাবন্দিকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার বিরুদ্ধে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনশন শুরু করেন পলাশ কুমার। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নামে কটূক্তির অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন রাজীব রানা। পরে, তাকে আটক করে ২৬শে মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সে দিনই কারা হাসপাতালের বাথরুমে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তিনি। পরে, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর, গত ৩০শে এপ্রিল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশ মারা যান।