স্থানীয়রা আরো বলছেন, নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে। আবার ক্ষমতার পালা বদলও হয়। কিন্তু এলাকাবাসির চলাচলের একমাত্র মাধ্যম রিফাত সড়কটি সংস্কার হয়না। প্রায় ৫ বছরের অধিক সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় রিফাত সড়ক হতে মধ্যম নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এ সড়কটির বেহাল দশা। এ সড়ক দিয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করে বিভিন্ন যানবাহনসহ কিন্ডার গার্ডেন, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার পথচারী। অনেক সময় যানবাহন চলাচলে ঘটছে ছোট খটো দুর্ঘটনাও।
সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ইজি বাইক চালক নুরুল হক জানান, প্রতিদিন তাদের ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কের মাঝ পথে ভাঙ্গন ও খানাখন্দ থাকার কারণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় গর্তের মধ্যে তার গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়ক দিয়ে অসুস্থ্য রোগী, স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু ও গর্ভবতী নারীরা দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছে।’
ট্রাক ড্রাইভার রেজাউল জানান, প্রায় পাঁচ বছর যাবত এ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও সংষ্কারের কোনও ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে সবসময় জীবন ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বাড়ীতে আসা যাওয়া করতে হয়। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির সময় গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে করে গাড়ি উল্টে অনেক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটলেও রাস্তা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দীন সাহীব জানান, দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার বিহীন হয়ে পড়ে আছে রিফাত সড়ক থেকে মধ্যম নাপিতখালী পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাটি। মাঝে মধ্যে এ সড়ক দিয়ে যাতায়তের সময় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখে নিজ উদ্যোগে বুড়ির দোকান এলাকার রাস্তার ভাঙ্গন সংস্কার করেন। বর্ষা মৌওসুমে এ রাস্তার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দ্রুত এ সড়ক সংস্কারে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এছাড়াও গত শনিবার ছৈয়দ মোহাম্মদ তামিম নামের এক যুবক তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, “নতুন অফিস রিফাত সড়ক সংস্কারের দাবীতে একটা মানববন্ধন করতে চাই, সবার মতামত আশা করছি…???” উক্ত স্ট্যাটাসের সুত্র ধরে ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন মন্তব্য করেন।